পাথফাইন্ডার ইন্টারন্যাশনালের সহযোগিতায় এবং এফআইভিডিবি ডব্লিউএলসিআর এর উদ্যোগে বিশ্বনাথ উপজেলার আলহাজ্ব লজ্জাতুন নেছা উচ্চ বিদ্যালয় ও আল আজম হাই স্কুল এন্ড কলেজের স্কুল দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটি ও ছাত্র পরিষদের সদস্যদের অংশগ্রহণে “স্কুলের লার্নিং শেয়ারিং ও ক্লোজিং মিটিং” অনুষ্ঠিত হয়েছে। সোমবার (১১ আগস্ট) আল আজম হাই স্কুল এন্ড কলেজ প্রাঙ্গণে আয়োজিত এই অনুষ্ঠানে শিক্ষার্থীদের দুর্যোগ মোকাবিলা সক্ষমতা ও সচেতনতা বৃদ্ধির কার্যক্রম পর্যালোচনা করা হয়।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশ্বনাথ উপজেলার একাডেমিক সুপারভাইজার আব্দুল হামিদ। সভাপতিত্ব করেন আল আজম হাই স্কুল এন্ড কলেজের অধ্যক্ষ এ কে এম আব্দুল আহাদ। বিশেষ অতিথি ছিলেন আলহাজ্ব লজ্জতুন নেছা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক তোলষি কুমার সাহা। এছাড়া দুই বিদ্যালয়ের স্কুল দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটি ও ছাত্র পরিষদের শিক্ষক ও ছাত্র-ছাত্রীবৃন্দ,
এফআইভিডিবি ডব্লিউএলসিআর<span;> প্রকল্পের জেলা সমন্বয়কারী গোলাম মোস্তফা, মনিটরিং ও ইভালুয়েশন অফিসার মজিবুর রহমান, ইউনিয়ন মোবিলাইজার বিনয় ভূষণ চৌধুরী এবং প্রোগ্রাম মনিটর ইয়াছমিন খানম উপস্থিত ছিলেন।
অনুষ্ঠান শুরুতে জেলা সমন্বয়কারী গোলাম মোস্তফা শুভেচ্ছা বক্তব্য দেন। এরপর মনিটরিং ও ইভালুয়েশন অফিসার মজিবুর রহমান প্রকল্পের স্কুল পর্যায়ের সার্বিক কার্যক্রম উপস্থাপন করেন। উন্মুক্ত আলোচনায় অংশগ্রহণ করেন স্কুল দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটির সদস্য শ্যামল স্যার। তিনি এই উদ্যোগের প্রশংসা করেন এবং এ ধরনের কার্যক্রম অব্যাহত রাখার আহ্বান জানান।
বিশেষ অতিথি তোলষি কুমার সাহা বলেন, “এই উদ্যোগ শিক্ষার্থীদের দুর্যোগকালীন পরিস্থিতি মোকাবিলায় সক্ষম করেছে এবং সহনশীল মনোভাব গড়ে তুলেছে। এই ধরনের কার্যক্রম বিদ্যালয়ে নিরাপত্তা ও সচেতনতার পরিবেশ সৃষ্টি করে, যা দীর্ঘমেয়াদে শিক্ষার্থী ও শিক্ষক উভয়ের জন্যই উপকারী।”
প্রধান অতিথি আব্দুল হামিদ তাঁর বক্তব্যে বলেন, “শিক্ষার্থীদের সক্ষমতা বৃদ্ধিতে স্কুল পর্যায়ে সচেতনতা কার্যক্রম অপরিহার্য। দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটি ও ছাত্র পরিষদের প্রচেষ্টা প্রশংসনীয়। এই উদ্যোগ শিক্ষার্থীদের শুধু জ্ঞান দিচ্ছে না, বরং আত্মবিশ্বাস ও নেতৃত্বের দক্ষতাও বৃদ্ধি করছে। ভবিষ্যতে এর ধারাবাহিকতা বজায় থাকলে আরও বেশি বিদ্যালয় উপকৃত হবে। সভাপতি এ কে এম আব্দুল আহাদ বলেন, এ ধরনের কার্যক্রম শিক্ষাক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে। যদি এই কার্যক্রম অন্যান্য বিদ্যালয়েও বিস্তৃত করা যায়, তাহলে আরও বেশি শিক্ষার্থী ও শিক্ষক উপকৃত হবেন। আমরা আশা করি, ভবিষ্যতেও এমন উদ্যোগ অব্যাহত থাকবে।